প্লেনে চড়ে তাড়াতাড়ি

মাত্র দেশ থেকে এসেছি। তার মানে বড় ধরণের একটা আর্থিক ধকল গেছে। পরিকল্পনা ছিল একেবারে মাথা নিচু করে কাজ-কর্ম করে যাবো। যতটুকু সম্ভব বাড়তি খরচ বাঁচিয়ে চাপটা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবো। প্রিয়তমা স্ত্রীর ছোট সন্তানকে নিয়ে ফ্লোরিডার ডিসনি ওয়ার্ল্ড বেরাতে যাবার প্ল্যান করাই ছিল। সে অবশ্য আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমিও ওদের সাথে যেতে চাই কি-না। আমি ধকলের কথা চিন্তা করে বললাম, “না থাক তোমরাই ঘুরে আসো।”

আমাদের ফ্লোরিডা যাওয়ার একটা বাড়তি আকর্ষণ আছে। সেখানকার ওর্লান্ডোতে শিখা-ওয়াহিদ থাকে। দু জনই আমাদের খুবই কাছের বন্ধু। সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রেমকে স্থায়ীরূপ দিয়ে ওরা মালা বদল করেছিল। ফ্লোরিডা গেলে এক ঢিলে দুটো পাখি মারার মতো একটা ব্যাপার হয়। ঘুরাও হয় এবং প্রিয় মুখ দুটোও দেখাও হয়। তা ছাড়া প্রতিযোগিতা হলে ওদের আতিথেয়তায় বিশ্বমানকে অনায়াসে টপকে যাবে। সে জন্যে ওদের ওখানে আরাম, আয়েস, আনন্দ ও ঠাট্টায় চমৎকার কয়েকটা দিন পার করে আসা যায়। যাই হোক, আমার সহধর্মিণী শিখাকে জানিয়ে দিলো ফ্লোরিডা সফরের দিনক্ষণ। দু পক্ষই অধীর উৎসাহে মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় রইলো।

সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসার মাত্র কয়েকদিন আগে প্রিয় বান্ধবী শিখা আবিষ্কার করলো, এইবার আমি ফ্লোরিডা যাচ্ছি না এবং সে কারণে আমার প্লেনের টিকিট করা হয় নি। সম্ভবত আমার না যাওয়ার কারণটাও সে আন্দাজ করে ফেললো। অবশ্য আমার ধকলের ব্যাপারটা বুঝতে হলে বড় অঙ্কবিদ হওয়ার দরকার নাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসগুলোতে একসাথে ছিলাম মেলা বছর; একেবারের অনার্স ফাস্ট ইয়ার থেকে আরম্ভ করে মাস্টার্স পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত। ফলে আমাদের মনের মিল এবং টান এখনও অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে আছে। সে সময়কার হাজারো ঘটনা এখন স্মৃতি হয়ে হৃদয় আকাশে তারার মতো জ্বলজ্বল করছে।

শিখা আমাকে ফোন করে পরিষ্কার জানালো, আমাকে সে দেখতে চায় এবং আমাকে ফ্লোরিডা যেতেই হবে। আমি নিজের থেকে টিকিট না করলে সে প্লেনের টিকিট করে পাঠিয়ে দিবে। কথার মধ্যে স্পষ্ট সেই ভালোবাসার দাবী। জীবনের এই পর্যায়ে এসে পৌঁছলে সম্ভবত দাবী করার মতো মানুষ মারাত্মক হারে কমে যায়। এখন অন্যরা অনুরোধ কিংবা লৌকিকতা করে বলেন, “আসবেন কিন্তু” কিংবা “সময় পেলে চলে আসবেন।” কিন্তু এমন করে আর কেউ বলে না আমাকে দেখতে চায়, সেই জন্যে আমাকে যেতে হবে। শিখার কথাটা আমাকে একেবারে বিগলিত করে ফেললো। আমি ঠিক করলাম এই আহ্বানের আমাকে সাড়া দিতেই হবে। সব ধরণের ধকল অগ্রাহ্য করে নিজেই প্লেনের টিকিট করে ফেললাম। অফিস থেকে একদিনের ছুটি নিলাম। সাথে শনি, রবি যোগ করলে হয় তিন দিন। শুক্রবারে অফিস শেষে প্লেনে উঠবো। তিন ঘণ্টার যাত্রা পথ। তার পরেই ৭২ ঘণ্টার ফাটাফাটি আনন্দের সময় আরম্ভ হবে ভেবেই পুলকিত হতে থাকলাম।

এমেরিকায় বিমানের টিকিট শেষ মুহূর্তে কিনলে আকাশচুম্বী গলাকাটা দাম হয়। তবে এর থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা উপায় আছে। ‘ডিসকাউন্ট এয়ারলাইনে’ টিকিটের মূল্য বেশ সাশ্রয়ী। অন লাইনে কিছুটা ঘাটাঘাটি করতে করতে পাওয়া গেল মোটামুটি মানানসই দামের টিকিট। দেরী না করে টিকিট করে ফেলা হলো। আমিও যাচ্ছি ফ্লোরিডা। কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!

আগেই বলেছি, কয়েকদিন আগে দেশ থেকে ফিরেছি। এমিরেটসের বিশাল প্লেনের আরাম আয়েস ও আতিথেয়তা চোখের সামনে ভাসছে। কিন্তু এইবার যে ভিন্ন রুটের ডিসকাউন্ট এয়ারলাইনে উঠছি, সেটা ঠিক মাথায় ছিল না। ভাবছিলাম দুবাই থেকে ডালাসের তুলনায় যাত্রাকাল নেহায়েতই কম। ১৬ ঘণ্টা প্লেনে বসে এসেছি। আর এখন মাত্র ৩ ঘণ্টার পথ। সাথে আইয়ুব বাচ্চুর “রুপালী গিটারের” মতো আমার “রুপালী কম্পিউটার” আছে। সময়টা কাটাতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। প্লেনে ইন্টারনেট না থাকলেও তেমন একটা সমস্যা হবে না। আগের কোনো লেখা এডিট কিংবা নতুন একটা গল্প লেখা আরম্ভ করতে পারবো। নাহ, পরিকল্পনা প্রথমেই হোঁচট খেলো। এয়ারপোর্টে এসে এয়ারলাইনের অদ্ভুত কিছু নিয়মকানুনের সাথে পরিচিত হলাম, যেটা আমার মাথায় একেবারেই আসে নি। কাউন্টারে ঢোকার আগে ওদের নিয়মকানুনের সাইনবোর্ডে চোখটা থেমে গেল।

এয়ারলাইনের কম্পিউটার নির্ধারিত সিটে বসলে আলাদা কোন চার্জ নাই। কিন্তু জানালার পাশে কিংবা বিশেষ কোন সিট অনুরোধ করলে ৫০ ডলার দিতে হবে। বাড়ির থেকে বোর্ডিং পাস প্রিন্ট করে না আনার কারণে যদি কাউন্টারের এজেন্ট প্রিন্ট করে দেয় তা হলে ১০ ডলার খরচ করতে হবে। সাথে পোষা কুকুর, বিড়াল থাকলে ১১০ ডলার করে চার্জ করবে। শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যাগ কিংবা ব্যাক প্যাক নিয়ে প্লেনে উঠার অনুমতি আছে। লাগেজ থাকলেই মুশকিল। তার জন্যে বড় ধরণের গচ্চা। সেই হিসেবে আর নাই বা গেলাম। একা মানুষ যাচ্ছি। যেই সিট দিয়েছে, তাই সই। একটা বসার জায়গা পেলেই হলো। বাসার থেকে বোর্ডিং পাস প্রিন্ট করা ছিল। এবং সাথে কম্পিউটার ব্যাগ ছাড়া অন্য কিছু নাই। ব্যাটারা আপ্রাণ চেষ্টা করেও থেকে আমার থেকে বাড়তি কিছু খসাতে পারলো না। এয়ারলাইনের উদ্দেশ্যে একটা উপহাসের ব্যঙ্গ হাসি দিলাম।

প্লেনটা বড়ই। বোয়িং ৭৪৭। নিজের সিটটা বের করে খপ করে বসে পড়লাম। বিমানটা আকাশে উঠলেই সামনের টেবিলটা খুলে কম্পিউটারের মধ্যে মনোনিবেশ করবো। আবার ধাক্কা খেলাম। টেবিলটা আয়তনে অন্য প্লেনের টেবিলের চার ভাগের এক ভাগ। তার মানে আমার ল্যাপ টপের মাত্র সিকি ভাগ ওই টেবিলে আঁটবে। সেখানে অল্প কিছু খাবার, পানির বোতল ছাড়া আর কিছু রাখা সম্ভব না। কম্পিউটারটা রাখলে সেটা তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে উল্টে পড়বে। তিন ঘণ্টা কম্পিউটার ছাড়া ঘাপটি মেরে চুপ চাপ বসে থাকতে হবে ভাবতেই মেজাজটা খারাপ হতে লাগলো। অবশ্য বিমান এর মধ্যে আকাশে পাখা মেলে দিয়েছে। ঠিক করলাম সিটটা ঠেলে একটু আয়েশ করে বসবো। নাহ সে আশাতেও গুড়ে বালি। এদের চেয়ার পেছন দিকে হেলানোর কোনো ব্যবস্থা নাই। সিটের পেছনে যাত্রীদের ছোট-খাটো জিনিসপত্র রাখার যে পকেট বানানো থাকে, তা দেখে হাসি আর ধরে রাখতে পারলাম না। পকেটের জায়গায় আড়াআড়ি করে প্লাস্টিকের দড়ি লাগানো। তার মধ্যে পারলে আপনার জিনিস রাখবেন, না হলে সেটা আপনার মাথা ব্যথা। বুঝলাম এয়ারলাইনের মালিকরা খরচ বাঁচাতে প্রতিটা বিষয়ে কঠিনভাবে উদ্যোগী ছিল।

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশের বিমানের এই হেন অবস্থা, আমাকে বিরক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিলো। আর কোনো উপায় না পেয়ে অর্ধ শরীর খাড়া অবস্থায় রেখে চোখ বন্ধ করে একটা ঘুম দেয়ার চেষ্টা আরম্ভ করলাম। একটা গান শোনা বা মুভি দেখার ব্যবস্থা থাকলে সেই খাতে না হয় কিছুটা সময় দিতে পারতাম। না প্লেনে সেই ধরণের আয়োজন করে অপচয় করা হয় নি। প্লেনের এক ঘেয়ে-মি শব্দে একটা তন্দ্রার মতো ভাব হলো। তবে শরীরটা মোটামুটি স্থির থাকলেও, মনের মধ্যে একটা কঠিন চিন্তা এসে ভর করলো। অনেক চেষ্টা করেও সেটা দূর করতে পারলাম না। অবশ্য মাঝে একবার চোখ খুলতে হয়েছিল। দু জন বিমান বালা ড্রিঙ্ক ও স্ন্যাক্স বিক্রি করতে এসেছিল। ইচ্ছা হলো একটা কোক কিনে খাই। কিন্তু দাম শুনে মহা বিরক্ত হলাম। দশ ডবল বেশী দামে বিক্রি করতে চাচ্ছে। বলতে ইচ্ছা হলো, বাংলাদেশের দূর পাল্লার বাসে উঠলে, ওরা একটা প্যাকেট লাঞ্চ দিয়ে আপ্যায়ন করে। এরা আকাশে ইয়া বড় প্লেন উড়াচ্ছে, কিন্তু সামান্যতম আতিথেয়তা নাই। ডিসকাউন্ট দামে টিকিট দিয়েছে বলে ভাবছে যে মাথা কিনে নিয়েছে। ছোট এক বোতল পানির দাম চাচ্ছে ৫ ডলার।

যাই হোক তন্দ্রাটা আবার ফিরে এলো। যা চাচ্ছিলাম না সেটাও হলো, দুর্ভাবনাও নতুন করে মাথার মধ্যে জেঁকে বসলো। এই এয়ারলাইন কিছুটা কম দামে টিকিট বিক্রি করেছে ঠিকই; কিন্তু পয়সা বাঁচানো ও উচ্চ দামে সব কিছু বিক্রি করে মুনাফা ঠিক রাখার প্রচেষ্টা আমাকে ভাবিয়ে তুললো। বিমান যাতে নিরাপদে আকাশ পথে চলতে পারে সে জন্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে তো! যদি না নিয়ে থাকে তা হলেই তো মহাবিপদের আশঙ্কা। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্লেনটা টার্বুলেন্সে পড়লো। একবারে ভাঙ্গা রাস্তা গাড়ি চলার দশা; প্লেনে প্রচণ্ড ঝাঁকি হতে লাগলো। দেখলাম আমার দুর্ভাবনা লাগামহীন হয়ে পড়ছে। খুব বেশী খারাপ চিন্তা করছে। ভাবা আরম্ভ করেছে প্লেনটা যদি ভূপতিত হয়, তা হলে আমি ঘুমন্ত থাকলে উত্তম হবে না-কি জেগে থাকলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আলো-বাতাসের সংস্পর্শে থাকলে ভালো হয়। ঘুমিয়ে থাকলে একটা সুবিধা আছে; কিছু বুঝার আগেই একেবারে ইহলোক ছেড়ে পরকালে পৌঁছানো যাবো। উল্টা-পাল্টা চিন্তা ভাবনা নিমিষেই ভেঙ্গে গেল। ছোট একটা শিশুর কান্নার শব্দে কানে এলো। সাথে সাথেই তন্দ্রা শেষ। পূর্ণ সজাগ হয়ে পড়লাম।

কান্নার উৎসের দিকে তাকালাম। বছর তিনেকের একটা বাচ্চা মায়ের কোলে প্রবল ক্রোধে হাত পা ছুঁড়ে কাঁদছে। মা ছেলেটাকে তার কাছে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু শিশুটাকে কোনোভাবেই শান্ত করতে পারছেন না। এর মধ্যে আশে পাশের সিটের অন্য যাত্রীরা আমার মতো গলা ঘুরিয়ে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছেন। আমার ডান দিকের যাত্রী যিনি এই পর্যন্ত কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনে চলেছিলেন, তিনি ফিসফিস করে আমার সাথে কথা আরম্ভ করলেন, “বাচ্চাটারই বা কি দোষ? ওই মা-ছেলে আমার সাথে সেই সকাল দশটায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যাত্রা আরম্ভ করেছে। তার পরে ডালাস এয়ারপোর্টে চার ঘণ্টা বসে আবার ফ্লোরিডার প্লেনে উঠেছে।” ভদ্রলোক আমাকে বুঝিয়ে চললেন, “ডিসকাউন্ট এয়ারলাইনগুলো অল্প দামের টিকেট দিয়ে ৪ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে পুরো ১২ ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়।” আমার নিজের এই অল্প সময়ের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তা হলে আর এই ছোট শিশুটার বা কি দোষ? সে তো অস্থির হবেই।

এর মধ্যে ছেলেটা মায়ের কোল থেকে ছিটকে নেমে চিৎকার করে কান্নার মাত্রা বাড়িয়ে দিলো। ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে একবার সামনে যাচ্ছে, আরেকবার পিছনে আসছে। মা বেচারি নিজেও ক্লান্ত। তিনি কয়েকবার টেনে হিঁচড়ে চেষ্টা করে পুত্রকে সিটে বসাতে ব্যর্থ হলেন। শেষে মা নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। তিনিও কান্না আরম্ভ করলেন। হৈ চৈ শুনে দু জন এয়ার হোষ্টেস ছুটে এলেন। মাকে সান্ত্বনা দিয়ে একজন বললেন, “আমরা আপনার বাচ্চা সামাল দিচ্ছি। আপনি শান্ত হয়ে সিটে বসুন।” অন্য হোষ্টেস পিছন থেকে ছোট একটা প্লাস্টিকের বল মুখের বাতাস দিয়ে ফুলাতে ফুলাতে নিয়ে এলেন। এইবার দু জন প্লেনের দু দিকে মেঝেতে বসে পড়লেন। মুহূর্তেই এদের সাথে ৩ বছরের শিশুর বন্ধুত্ব হয়ে গেল। বাচ্চাটা বল নিয়ে একবার এইদিকে আসে আরেকবার ওই দিকে যায়। শিশুটা দুই মহিলাকে ক্যাচ দিলো এবং ক্যাচ নিলো। ছেলেটা একেবারে শান্ত ও বাধ্য হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুটার খিল খিল হাসির শব্দ পেলাম। প্রতিটা যাত্রী কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে এয়ার হোষ্টেস দু জনকে ধন্যবাদ দিলো। দু জনে এয়ারলাইন্সের সাধারণ কর্মচারী প্রমাণ করে দেখালেন, কাউকে জয় করতে গেলে ভালোবাসা দিতে হয়। তাদের চাকুরিদাতা কোম্পানি যেখানে প্রতিটা পদে ফাঁদে ও কষ্টে ফেলে মুনাফা করতে যেয়ে যাত্রীদের ত্যক্ত-বিরক্ত করে ছাড়ছে, সেখানে তাদেরই দু জন কর্মচারী আন্তরিক ভালোবাসা দিয়ে দায়িত্বের উর্ধে উঠে শুধুমাত্র ছোট্ট একজন শিশুকে শান্ত করে নি, উপস্থিত যাত্রীদের হৃদয় পুরোপুরি জয় করে নিয়েছে। এ রকম নিবেদিত প্রাণ বিশাল হ্রদয়ের মানুষগুলো আছে বলেই হয়তো মুনাফা লোভী কোম্পানিগুলো নির্বিঘ্নে অর্থের পাহাড় গড়তে পারছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ডিসকাউণ্ট এয়ারলাইনগুলোর বিমান অন্য এয়ারলাইনের মতই নিরাপদ। মার্কিন বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সব ধরণের এয়ারলাইনের প্লেনের জন্য একই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অক্টোবর ২৪, ২০১৮

কাজী হাসান
লেখকঃ quazih@yahoo.com